Breaking News

ফুটবল বিশ্বকাপের রেকর্ড (A-Z)

ফুটবল বিশ্বকাপের রেকর্ড (A-Z)






ফুটবল বিশ্বের জনপ্রিয় খেলার একটি। ফুটবল প্রেমীদের জন্য ফুটবল বিশ্বকাপ পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি আসর। ১৯৩০ সাল হতে ৪ বছর অন্তর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়ে থাকে। টুর্নামেন্ট আয়োজন করে The Federation  Internationale de Football Association (FIFA) । ১৯৩০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ২০ বার ফুটবল বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। দুই পর্বে ৯০ মিনিটের এই খেলায় খেলোয়াড় এবং দর্শকদের মধ্যে বেশ টান টান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর খেলা মানেই রেকর্ড ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। একজন খেলোয়াড়ের রেকর্ড আরেক খেলোয়াড় ভেঙ্গে দিয়ে নতুন আসুন রেকর্ড গড়বে, সৃষ্টি করবে নতুন এক ইতিহাস। ফুটবল বিশ্বকাপের বিভিন্ন তথ্য নিয়েই এই লেখা।
সাল         চ্যাম্পিয়ন           রানার আপ             স্বাগতিক দেশ

১৯৩০     উরুগুয়ে             আর্জেন্টিনা              উরুগুয়ে

১৯৩৪     ইটালি                 চেকোস্লোভাকিয়া     ইটালি

১৯৩৮     ইটালি                হাঙ্গেরি                   ফ্রান্স

১৯৫০      উরুগুয়ে             ব্রাজিল                   ব্রাজিল
১৯৫৪      পশ্চিম জার্মানি    হাঙ্গেরি                    সুইজারল্যান্ড
১৯৫৮      ব্রাজিল              সুইডেন                   সুইডেন

১৯৬২      ব্রাজিল              চেকোস্লোভাকিয়া     চিলি
১৯৬৬     ইংল্যান্ড            পশ্চিম জার্মানি        ইংল্যান্ড

১৯৭০      ব্রাজিল              ইটালি                   মেক্সিকো

১৯৭৪     পশ্চিম জার্মানি    নেদারল্যান্ডস        জার্মানি
১৯৭৮     আর্জেন্টিনা        নেদারল্যান্ডস        আর্জেন্টিনা

১৯৮২     ইটালি              পশ্চিম জার্মানি       স্পেন

১৯৮৬    আর্জেন্টিনা       পশ্চিম জার্মানি       মেক্সিকো
১৯৯০     পশ্চিম জার্মানি     আর্জেন্টিনা         ইটালি

১৯৯৪     ব্রাজিল               ইটালি                 আমেরিকা

১৯৯৮    ফ্রান্স                 ব্রাজিল                ফ্রান্স
২০০২     ব্রাজিল               জার্মানি              কোরিয়া/জাপান
২০০৬     ইটালি               ফ্রান্স                 জার্মানি

২০১০     স্পেন                নেদারল্যান্ডস     দক্ষিণ আফ্রিকা
২০১৪     জার্মানি             আর্জেন্টিনা          ব্রাজিল



১.বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়েছিল ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে।
২. প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল ১৮৮৪ সালে শুরু হওয়া ব্রিটিশ হোম চ্যাম্পিয়নশিপ।
৩. ১৯০০, ১৯০৪ ও ১৯০৬ সালের অলিম্পিকে প্রদর্শনী খেলা হিসেবে রাখা হয় ।
৪.১৯০৮ সালের অলিম্পিকে ফুটবল প্রথম আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা পায়।
৫. ১৯১৪ সালে, ফিফা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত ফুটবল প্রতিযোগিতাকে "অপেশাদার বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ" হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়। এ
৬ ১৯২০ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে বিশ্বের প্রথম আন্তমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
৭. উরুগুয়ে ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ লাভ করে।
৮. ১৯২৮ সালে ফিফা অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে নিজস্ব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ৯. ১৯৩০ সালে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে ফিফা তাদের ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করে।










 ১। সর্বোচ্চ (২৯টি) ম্যাচ খেলেছেন  মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি)।

২। ১৬ টি গোল করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি)।

৩। বিশ্বকাপ আসরে সর্বাধিক (৫ বার) অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় এন্তনিয়ো কারবাজাল(মেক্সিকো), লোথার মাথায়ুস (জার্মানি), জিয়ানলুইজি বুফন (ইটালি)।

৪। সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ জয়ী দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল (৫ বার)।

৫। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশিবার অংশগ্রহনকারী দল ব্রাজিল (২০ বার)।

৬। দল হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছে জার্মানি (১০৬ টি)।

৭। দল হিসেবে সর্বোচ্চ কার্ড পেয়েছে আর্জেন্টিনা (১২০ টি)।

৮। মাত্র ১৫ বছর ৪ মাস ৪ দিন বয়সে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন জস ভ্যান ইনজেলজেম (বেলজিয়াম)।

৯। সর্বজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফারীদ মন্দ্রাগন (কলম্বিয়া), যার বয়স ছিল ৪৩ বছর ১৩ দিন।

১০। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫ টি গোল করেছেন অলেগ সালেঙ্কো (রাশিয়া)।

১১। সর্বোচ্চ ৬ টি কার্ড পেয়েছেন জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স), রাফায়েল মারকুয়েজ (মেক্সিকো), কাফু (ব্রাজিল)।

১২। ১৯৩০ সালে সর্বপ্রথম শীর্ষ গোলদাতার জন্য “গোল্ডেন বুট পুরস্কার” প্রদান করা হয়।

১৩। ১৯৯৪ সাল থেকে শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষকের জন্যে “গোল্ডেন গ্লোবস পুরস্কার” প্রদান করা হয়।

১৪। দ্রুততম হ্যাট্রিক করেছেন হাঙ্গেরীর লাসলো কিস (৬৯’,৭২’,৭৬’)।

১৫। ৩ বার বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন পেলে (ব্রাজিল)।

১৬। সর্বোচ্চ ৩ টি  ফাইনাল খেলেছেন কাফু (ব্রাজিল)।

১৭। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভিন্ন দুই দেশের হয়ে খেলেছেন লুইস মন্টি; ১৯৩০ (আর্জেন্টিনা) এবং ১৯৩৪ (ইটালি)।

১৮। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপ জয়ী মারিয়ো জরগে লোবো জাগাল্লো (ব্রাজিল)।

১৯। সর্বপ্রথম লাল কার্ড পেয়েছেন প্লাসিদো গালিন্দো (পেরু)।

২০। “ব্যাটল অফ নুরেমবার্গ” নামে পরিচিত নেদারল্যান্ড বনাম পর্তুগাল(২০০৬)-এর খেলায় এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৬ টি হলুদ কার্ড এবং ৪ টি লাল কার্ড দেখানো হয়েছে।

২১। দ্বিতীয়বারের মত কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ী করেছেন ইটালির ভিক্টোরিয়ো পোজ্জো (১৯৩৪,১৯৩৮)।

২২। সর্বকনিষ্ঠ ক্যাপ্টেন হিসেবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন আমেরিকার টনি মেউলা (২১ বছর ৩ মাস ২০ দিন)।

২৩। ভিন্ন দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ৩ টি গোল করেছেন রবার্ট প্রসিনেকি; যুগোস্লোভিয়া (১৯৯০), ক্রোয়েশিয়া (১৯৯৮, ২০০২)।

২৪। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৭ টি গোল করেছে হাঙ্গেরী (১৯৫৪)।
২৫। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬টি আত্নঘাতি গোল হয়েছে।

২৬। এক ম্যাচে উপস্থিতি দর্শকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১,৭৩,৮৫০ জন (১৯৫০, মারাকানা স্টেডিয়াম) এবং সর্বনিম্ন ২০০০ জন (১৯৩০, এস্টাদিও সেন্টেনারিও)।

২৭। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে দর্শকের উপস্থিতি সংখ্যা ছিল ৩৫,৮৭,৫৩৮ জন এবং প্রতি খেলায় ৬৮ হাজার ৯৯১ জন উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই